বিনোদন ডেস্ক;; শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে ফের ভোট দাবি করেছে কাঞ্চন-নিপুণ পরিষদ। রোববার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে সাংবাদ সম্মেলনে শিল্পী সমিতির ভোট সুষ্ঠু হয়নি বলে অভিযোগ তুলেছেন অভিনেত্রী নিপুণ।
তিনি সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদে আবারও ভোটের দাবি জানিয়েছেন । তার এ দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন সভাপতি পদে জয়ী ইলিয়াস কাঞ্চন।
নিপুণ এই নির্বাচনে কাঞ্চন-নিপুণ পরিষদ থেকে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ছিলেন।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম মিলনায়তনে ওই সংবাদ সম্মেলন হয়।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নিপুণ বলেন, ‘আমি চাই আবার নির্বাচন করতে। জায়েদ খানের সাহস থাকলে আবার নির্বাচনে আসুক। আমার পদটিতে কারচুপি করে আমাকে হারিয়ে দেওয়া হয়েছে।’
এসময় আবার নির্বাচন করার সুযোগ আছে কিনা কিংবা গঠনতন্ত্রে আছে কিনা- জানতে চাইলে নিপুণ বলেন, ‘হ্যাঁ, নির্বাচন কমিশন চাইলে আবার সম্ভব, প্রয়োজনে আমি এ নিয়ে আদালতে যাব।’
পরে সভাপতি পদে জয়ী ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ‘যেহেতু নিপুণ ভিকটিম। সে অভিযোগ করছে তার পদে আবার নির্বাচন করা হোক। আমিও তার সঙ্গে একমত।’
ইলিয়াস কাঞ্চন অভিযোগ করেন, ‘আমার ভাবতে কষ্ট হয়, এই নির্বাচনে আমার মতো একজন শিল্পীকে প্রস্রাব করার জন্য জায়গা খুঁজতে হয়েছে। পরে দেওয়ালে দাঁড়িয়ে আমি প্রস্রাব করেছি। নির্বাচন কমিশনার আমাদের প্যানেলের অংশের জন্য একটি টয়লেটের ব্যবস্থাও রাখেননি। এতোটাই প্রতিকূল ছিল আমাদের জন্য।’
নিপুণ বলেন, ‘আমার সমর্থনের প্রযোজক, প্রডাকশন, ক্যামেরাম্যানদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা যেদিন তেজগাঁও ডিসির সঙ্গে বসেছি, জায়েদ বলেছেন যে, প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশন যে সিদ্ধান্ত নেবে, আমি সেটাই মেনে নেব। তাহলে আমাদের ক্যামেরাম্যানদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি কেন?’
সংবাদ সম্মেলনে ইলিয়াস কাঞ্চন, নিপুণ, রিয়াজসহ কাঞ্চন-নিপুণ পরিষদের প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে শুক্রবার এফডিসিতে অনুষ্ঠিত হয় শিল্পী সমিতির ১৭তম নির্বাচন। ভোটের ফল প্রকাশ করা হয় শনিবার ভোরে। ফল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার পীরজাদা শহীদুল হারুন। এবারের নির্বাচনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে জয়ী হয়েছেন যথাক্রমে ইলিয়াস কাঞ্চন ও জায়েদ খান।
ইলিয়াস কাঞ্চন ও জায়েদ খান ভোট পান যথাক্রমে ১৯১টি ও ১৭৬টি। তাদের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সভাপতি পদে মিশা সওদাগর ১৪৮টি এবং নিপুন ১৬৩টি ভোট পান।
এছাড়া সহ-সভাপতি পদে ডিপজল ও রুবেল, সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে সাইমন সাদিক জয়ী হয়েছেন। সাংগঠনিক সম্পাদক পদে অভিনেত্রী শাহানূর, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক পদে মামনুন ইমন, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক পদে জয় চৌধুরী, দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক পদে আরমান নির্বাচিত হয়েছেন।
কার্যকরী সদস্য পদে জয়ী হয়েছেন, মিশা-জায়েদ প্যানেল থেকে অঞ্জনা, রোজিনা, অরুণা বিশ্বাস, সুচরিতা, আলীরাজ, মৌসুমী, চুন্নু এবং কাঞ্চন-নিপুণ প্যানেলের ফেরদৌস, কেয়া, জেসমিন ও অমিত হাসান।
এবিএ/৩০ জানুয়ারি